
আমি কার জন্য এতো কিছু করলাম কার জন্য
আমি কার জন্য এতো কিছু করলাম কার জন্য, কার জন্য সব কিছু ছেড়ে চলে আসলাম আমার আর
কিছুই ভালো লাগছেনা। আমার বাড়িতে প্রতিনিয়ত আমার স্বামীকে নানান কথা বলতে থাকে। আগে সহ্য হলেও
পরে আর আমার ওই কথা গুলো সহ্য হয়না৷ উনি কেনো এতো কথা শুনবেন? ওনার তো কোনো
দোষ ছিলো না। ওনার মাঝেতো কোন কিছুরই কমতি ছিলো না৷ আমিই তো ভালোবাসা গুলোকে দুরে ঠেলে
আরও ভালবাসার গল্প পেতে ভিজিট করুউঃ logicalnewz.com
আমি কার জন্য এতো কিছু করলাম কার জন্য
ও আমি ওনার কথা ভাবলাম না আমি এতোটাই সার্থপর হয়ে গেলাম উনি কি কখনো আমাকে ক্ষমা করতে পারবেন?
আর কি কোনো সুযোগ আছে আমার ওনার কাছ থেকে ক্ষমা নেয়ার? এমন হাজারটা প্রশ্ন আমাকে প্রতিনিয়ত
তাড়া করতে থাকে। বিবেকের ছুঁড়ে দেওয়া প্রতিটা গভীর প্রশ্ন আমার হৃদয়টাকে ক্ষত বিক্ষত করতে থাকে৷
আমার মন চায় যদি একটি বারের জন্য হলেও উনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে পারতাম। চোখের পানিতে
ওনার বুকটা ভিজিয়ে দিতে পারতাম। হয়তোবা উনিও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতো,আর কাদতে হবে না,
ভালোবাসি তোকে,খুব ভালোবাসি, কথা দে আর কখনো ছেড়ে যাবিনা। আমি তখন ওনার বুকে মুখ লুকিয়ে বলতাম,
এ জীবন যতদিন আছে কখনো আর ছেড়ে যাবোনা।শুধু একটি বার আপনার বুকে ঠাঁই দিবেন আমায়? কিন্তু?
এই কথা গুলোকে কেবল কল্পনায় জায়গা দেয়া যায়
বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। আমি কী কখনো ওনার সামনে দাঁড়াতে পারবো? ওনার চোখে চোখ রাখতে পারবো?
ওনার বুকে মাথা রাখতে পারবো? শক্ত করে একবার জড়িয়ে ধরতে কি পারবো? জানিনা কখনো সম্ভব
কিনা আমি হয়তো পারবো না। তবে আজ কেনো জানি মনে হচ্ছিলো, হ্যাঁ আমিও ওনাকে খুব করে ভালোবেসে ছিলাম৷
ঐ পুরোনো সিম কার্ড। সেই ৩ বছরের মায়া আমাকে শেষ করে দিয়েছে, আমার ভালোবাসাকে শেষ করে দিয়েছে।
এসব ভাবতেছিলাম ঠান্ডা ফ্লোরে বসে। অঝোরে কান্না করছিলাম কাঁদতে ও শরীরের অনেক শক্তি ব্যায়
হয়।তাই খুব ক্লান্ত লাগছিলো। একটু ঘুমালে মনে হয় ভালো হতো। এই ভেবে ফ্লোর থেকে উঠে বিছানার কাছে
আমি কার জন্য এতো কিছু করলাম কার জন্য
যেতেই ঝুনঝুন শব্দ আমার কানে বাজতে থাকে। আরে আমিতো ঐ দিন আসার সময় পায়েল গুলো রেখে আসিনি। উনিও আমাকে বারণ করেনি। হয়তোবা ভালোবাসতেন বলেই কিছু বলেনি। নতুবা আমার সাথে আর কথা বলার কোনো রুচি হয়নি।
তাই আমার ও আর রাগের সময় খেয়াল ছিলোনা। বিছানায় বসে এক নজরে তাকিয়েছিলাম পায়েল গুলোর দিকে। রেডিমেড জিনিস নয়। অর্ডার দিয়ে বানানো৷ একটা পায়েল খুলে প্রতিটা অংশ ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখছিলাম৷ খোদাই করে খুব সুন্দর করে লিখা ছিলো।
আবার একটু দুরেই লেখা একটু উচু করে আঁকা লাভ তারপরই লেখ এই ছোট ছোট সংক্ষিপ্ত লেখা গুলোর মানে সবাই বুঝে। আমি ও সেদিন বুঝেছিলাম। পায়েলটা বুকে জড়িয়ে আবারো অনেক কান্না করি। এতো ভালোবাসা জমা ছিলো আমার জন্য। আর আমি কিনা একটুও অর্জন করতে পারলাম না।