
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে মোটেই এমন সুযোগ ছিলো না
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে মোটেই এমন সুযোগ ছিলো না, কেননা ওনার সাথে আমার স্বামী-স্ত্রীর কোন
সম্পর্কই ছিলো না। কোনোদিন একটু সময় নিয়ে ওনার সাথে কথাও বলিনি। তবে ভাবলাম একটু চেষ্টা
করতে ক্ষতি কী! ওনার ডান হাতটা টেনে আমার দুই হাতের মধ্যে নিলাম। উনি কিছুই বল্লেন না।
একদৃষ্টিতে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বুঝতে পারি চিন্তায় উনি এই বিষয়টি খেয়াল পর্যন্ত করেন নি।
আরও ভালবাসার গল্প পেতে ভিজিট করুউঃ logicalnewz.com
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে মোটেই এমন সুযোগ ছিলো না
ওনার হাতটা শক্ত করে আমার দু’হাতের তালুর মধ্যে নিলাম। তাতেও কোন কাজ হয়নি দেখে আমি নিজেকে
ওনার একদম কাছে নিয়ে গেলাম। ওনার কাঁধে মাথা রেখে ওনার বাহুটা জড়িয়ে ধরলাম। এবার উনি
আমার দিকে তাকালো। আমিও ওনার চোখের দিকে তাকিয়ে নিজের ঠোঁট গুলো বারবার বাঁকাতে লাগলাম
আর ঘনঘন ঠোকর গিলতে গিলতে একটা করুণ দৃষ্টিতে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। উনি কি ভাবলো জানি না।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখের পাতা দু’টো এক করতেই কয়েকটি ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। উনি বাম হাতে
চোখমুছে নিয়ে আমার হাতের তালুর পিঠটা চেপে ধরে রাখল। আমার কাছে তখন কেমন লাগছিলো
সেটা আমি আজও কল্পনা করতে পারি না
কোনো একটা অজানা অনুভূতি এসে গ্রাস করছিলো আমাকে। ওটাই ছিলো ওনার প্রথম স্পর্শ। প্রিয় মানুষটার কাছে প্রতিটা নারীই হয়তো এমন একটা স্পর্শের আশায় থাকে। তবে আমদের মধ্যে একে অপরের প্রিয় হওয়ার মতো কোনো সম্পর্কই তখন নেই।
তাই ঐ সব কিছু মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো আমার। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে মোটেই এমন সুযোগ ছিলো না
পরক্ষণেই উনি আমার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলেন। চেয়ার ছেড়ে উঠে সামনে চলে গেলেন। আমি অবাক চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। উনি একবারের জন্যও আর আমার দিকে ফিরে তাকায়নি।
একটু পর ডাক্তার রুম থেকে গোমড়া মুখে বেড়িয়ে আসে। আমার স্বামী দৌড়ে ওনার কাছে যান। উৎসুক দৃষ্টি তাকিয়ে থাকেন ওনার দিকে। ওনার সেই করুণ দু’চোখের দৃষ্টি আজও আমার চোখে ভেসে উঠে। অতঃপর ডাক্তার ওনার কাঁধে হাত রেখে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আস্তে আস্তে কিছু একটা বলতে থাকে। আমিও উঠে সেখানে যাই শোনার জন্য। কিন্তু ডাক্তারের যা বলল তা শোনার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।