
রাস্তায় একটা মোটা লাঠি দেখতে পেলাম, মাহফুজ, রিশার আওয়াজ শুনে পিছনচে তাকাতেই দেখি একটা গাড়িতে ওকে জোড় করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে,
নিশ্চয় ড্রাগনের লোকেরা আমার ব্যাপারে জেনে গেছে, আর ভুল করে রিশাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে,
আমিও ওদের পিছনে দৌড়াতে লাগলাম, গাড়িটা স্পিডে চলছে, কিন্তু আমিও কমান্ডোতে দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি,
সো সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌড়াতে লাগলাম, ওরা আস্তে আস্তে জঙ্গলের মধ্যে চলে গেলো, কি করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না,
তখন রাস্তায় একটা মোটা লাঠি দেখতে পেলাম,ওইটা ওদের গাড়ির দিকে ছুড়ে মারলাম,সাথে সাথে গাড়ির
আরও ভালবাসার গল্প পেতে ভিজিট করুউঃ logicalnewz.com
রাস্তায় একটা মোটা লাঠি দেখতে পেলাম
সামনের কাচটা ভেঙে গেলো, আর ওরা কন্ট্রোল করতে না পেরে গাড়ি থামিয়ে দিলো,দৌড়ে গিয়ে রিশাকে
গাড়ি থেকে বের করলাম, কিন্তু ১০ থেকে ১৩ জন আমাদেরকে ঘিরে ধরলো, রিশাকে সাইডে সরিয়ে দিয়ে
সবকয়টাকে মারতে থাকলাম, একটু পর দেখি মটিতে সবকয়টা গড়াগড়ি খাচ্ছে, তারপর রিশার দিকে
তাকাতেই একটা গুলি এসে সোজা আমার পেটের বাম পাশে লাগলো, সাথে সাথে চোখ দুইটা অন্ধকার হয়ে গেলো,
রিশা, এই অবস্থা দেখে ফুজ বলে একটা চিৎকার দেয়, কিন্তু মাহফুজের নিহর দেহ মাটিতে পরে আছে,
কোনে সারা শব্দ নাই, সেই লোকগুলো এসে জোড় করে রিশাকে তুলে নিয়ে যায়, মাহফুজ, হঠাৎ করে আমার ঘুমটা ভেঙে
তাকিয়ে দেখি ৩ টা লোক দাড়িয়ে আছে, চারপাশে তাকাতেই দেখি আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি
তখন সামনে দাড়ানো একটা লোক বলে উঠলো,
লোকটা, এই ছেলে রিশা কোথায়..?
মাহফুজ, মনে মনে এরা আবার কারা,যে রিশার খোজ নিতে আসতে,ব্যাপারটা এখন চেপে যেতে হবে, আমি কোনো রিশাকে চিনি না, আর আপনারা কে?
লোকটা, আমরা থেকে আসছি, আর রিশাও একজন অফিসার, এইটা রিশার ছবি,একটা ছবি সামনে দিয়ে বললো,
আমি তো সকালে কলেজের জন্য বেরিয়েছিলাম
আর আমরা তোমাকে জঙ্গল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছি,
মাহফুজ, ছবির দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে এটা রিশা, কিন্তু ওদেরকে এখন আমার সম্পর্কে বললে পুরো
প্লানটাই বরবাদ হয়ে যাবে,তাছাড়া রিশাকে বলেছি যে আমি ওদের কোনে প্রকার সাহায্য নিবো না,
তাই একটা প্লান মাথায় আসলো, শুনুন আমি এই মেয়েটাকে চিনি না, আর আমি কিভাবে জঙ্গলে ছিলাম সেটাও আমি জানি না,
তারপর আমার আর কিছু মনে নাই, আরেকটা লোক, স্যার তাহলে কি ওর স্মৃতি শক্তি চলে গেলো নাকি..?
মাহফুজ, না না আমার স্মৃতি শক্তি আলে যায় নাই, আমার সবকিছু মনে আছে, আমার নাম মাহফুজ,
এখানেই একটা কলেজে আমি পড়ালেখা করি, বাট কলেজে বের হওয়ার পর থেকে আমার কিছুই মনে নাই,
ডক্টর আমার মাথা ব্যাথা করছে
, ডক্টর, রাহাত এবার ছেলেটার একটু রেস্টের প্রয়োজন,
নাহলে মাথায় অতিরিক্ত চাপ পড়বে, রাহাত, কিন্তু ডক্টর আমাদের ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আছে, ডক্টর,
দেখো রাহাত এখন যদি আর ওকে চাপ দাও, তাহলে নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে যাবে, সো প্লিজ লিভ হিম এলোন,
তখন অফিসার রা আর কোনো কথা বলতে পারলো না, তারা কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো, তার তখনই তানহা দৌড়ে ভিতরে প্রবেশ করলো,
পিছনে রাজও আছে, তানহা, এই মাহফুজ কি হয়েছে তোমার..? জানো তোমার জন্য কতো টেনশন হচ্ছিলো, ডক্টর মাহফুজের কি হয়েছে..?