
দেখঘরের আবছা আলোয় তিনি লেন এক, ঠিক কোন রাত সেটা জানার উপায় নেই।
ঘরের আবছা আলো ঘড়িতে পৌঁছায় না। হঠাৎ, কপালে নরম আবেদনময়ী শীতল স্পর্শ
পেতে যতীন চোখ খুলল। দেখঘরের আবছা আলোয় তিনি লেন এক খুব সুন্দরী মহিলা
তার মাথার ঠিক পাশে বসে আছে। পরার কোন সুতো নেই। আবছা আলোয়,
শরীরের প্রতিটি মোড় উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে হয়। যতীন ঘুমন্ত
ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, ওহ নিশি, হয় আজ তুমি যাও, শরীর আজ খুব দুর্বল। আমিও উঠতে পারছি না।
যতীনের তে, তার পাশে বসা মহিলা প্রতিমার ভেতরের বিন্দু কোন অস্বস্তি দেখায়নি।
রিবর্তে, তার মুখের কোণে একটি হাসি দেখা দিল। তারপর তার মাথার চুলে হাত রেখে
আরও ভালবাসার গল্প পেতে ভিজিট করুউঃ logicalnewz.com
দেখঘরের আবছা আলোয় তিনি লেন এক
তুমি কি সত্যিই আমাকে ছেড়ে যেতে চাও?।তিনি বললেন এটা ঠিক আছে কিন্তু তারপরও
আগের চেয়ে বেশি আলিঙ্গন করা শুরু করেছে। তারপর মহিলা মূর্তি আস্তে আস্তে বিছানায়
উঠে পড়ল, প্রথমে সে যতীনের পাশে শুয়ে ছিল, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তীন শরীরে ছায়ার
মত প্রতিমা উঠতে শুরু করল। যতীনের কোন ক্ষমতা নেই এবং সে এই আলিঙ্গন উপেক্ষা করে।
আমি এতদিন এটা করতে পারিনি এবং এখনো পারছি না। তিনি তাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
যতীনের বাবা মা চিন্তিত ছিলেন না। ছেলেটার শরীর দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে। আপনি মুখের
দিকে তাকাতে পারবেন না, চোখের নিচে এমন দাগ আছে যা গর্তে চলে গেছে।
চোয়াল ভাঙা এবং নিফর্ম। হঠাৎ কি হলো? যতীন ছয় মাস আগেও এমন ছিল না।
বাবা অনেক ডাক্তার কিন্তু কোন কাজ হয়নি
দিনে দিনে সে আর ছেলেটিকে এভাবে মৃত্যুর দিকে এগোতে তে পেল না। এটি মৃত্যু,
কারণ এটি যদি কিছু সময়ের জন্য এভাবে চলতে থাকে, হলে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে না।
কিন্তু উপায় কি? তাদের কেউই তা মনে করেন না।
যতীন এবার অনার্স পরীক্ষা দেবে। এতদূর তিনি গ্রাম থেকে ভার্সিটিতে যেতেন।
থেকে খুব বেশি দূরে নয়। একটি ট্রেন সকাল সাতটায় থামে। তারপর সারাদিন কে
বিকেলে আবার ট্রেনে গ্রামে ফিরুন। তাছাড়া, প্রতিদিন আর ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না,
বং তারপরেও যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এজন্য ভার্সিটিতে যাওয়া এমনই, কিন্তু মনে।
তাই ভার্সিটি হোস্টেলে বা মেসে থাকা জরুরি। বাবাকে বলার সাথে সাথে তিনি বললেন,
চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে পৃথিবী থেকে শব্দটি বের করা যথেষ্ট। পরীক্ষা আর কতদিন বাকি আছে?
প্রায় সাত মাস
এটাই যথেষ্ট, এই মাস প্রায় শেষ। আপনি যদি একটি কাজ করেন,
হোস্টেলে বা মেসে যাই পান না কেন পরের মাসে উঠুন। যদিও আমার বয়স হয়েছে,
আমি এই দিকটির যত্ন নেব। এছাড়া চিন্তার কোন কারণ নেই, রঘু আছে।।যতীনের বিশাল বাজার আছে।
তার বাবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে সবকিছু দেখাশোনা করতে হয়েছিল।