
তুমি যা ভালো বুঝ তাই করো আমার কিছু বলার নেই, বাপের বাড়ির আদর ও পায় নাই।
তারপরও কোনোদিন বলে নাই আমি কষ্টে আছি। আমি যখন যা চাইছি তাই দিছে। যেদিন তোকে দেখতে যাই,
অনেক ভালোলাগে তোকে। ছেলেটা একবারও বলেনি আমি আগে দেখে তারপর আমার মত জানাবো।
শুধু বলছিলো মা । তারপর তো তুই এই বাড়ির বউ হয়েই আসলি। আমি তোকে তুই তুই করে বলি,
তাই রাগ করিস না আবার। তুইতো আমার মেয়ের মতোই। আমার ছেলেটাকে একটু দেখে রাখিস।
আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইটঃ logicalnewz.com
তুমি যা ভালো বুঝ তাই করো আমার কিছু বলার নেই
কোনো সময় কষ্ট দিসনারে মা। ছেলেটা আমার জীবনেও আদর পায়নি। তুই একটু আদর দিয়ে আগলাইয়া
রাখিস দেখবি তোকে মাথায় তুইলা রাখব।আমার জন্য কান্দিস না, আমি তো বুড়া হইয়া গেছি।
বুড়া মানুষ তো মরন লাগবেই। কতো জোয়ান মানুষই মইরা যায়। আমি ওনার হাজার টা কথার
বিপরীতে কি বলব কোনো ভাষা পাইনি সেদিন। ওনাকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকি।
আমি আমার নিজের মা কেও কোন দিন এতো আপন করে পেয়েছি কিনা জানিনা। উনি আমার মাথায় হাত
বুলিয়ে বলেছিলো “পাগলী মাইয়া কান্দস কেন,বুইড়া মানুষের লাইগা কাঁদলেই কি হইব।তুই খালি আমার
পোলাডারে দেইক্ষা রাখিস তার পর আমার কপালে একটা
চুমু দিয়ে দেয়। তার বদলে আমিও ওনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি। নিজের মায়ের থেকেও বেশি আপন
তখন ওনাকে মনে হচ্ছিলো। সেদিনের পর থেকে আমার স্বামীকে সব সময়ই মনমরা দেখতাম।
এর কিছুদিন পর আমার স্বামী আমাকে একটা ফোন কিনে দেয়। আমি আবার আমার সেই পুরাতন সিমটা
ইউজ করা শুরু করি। একদিন আমার বয়ফ্রেন্ড আমাকে রাতের বেলায় কল দেয়। আর নানান কথা বলা শুরু করে। কবে স্বামীকে ডিভোর্স দিবো। এতোদিন কেনো ফোন দেইনি। কেনো ফোন অফ ছিলো। দুনিয়ার সব কথা।
তুমি যা ভালো বুঝ তাই করো আমার কিছু
আমি আবারও আমার বর্তমানকে ভুলে ওর সাথে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পরি। আবার তার কথা ভাবতে থাকি। প্রায় আধা ঘন্টা কথা বলার পর হটাৎ ঘরে কারো আসার শব্দ পাই আমি ফোনটা না লুকিয়ে পিছনের দিকে ঘুরতেই দেখি আমার স্বামী অফিস থেকে ফিরছে৷ উনি আমার ফোনে কথা বলার ব্যপারটা দেখে ফেলে।
কিন্তু কোন রিয়েক্ট না দেখিয়ে শুধু কাপড় চেঞ্জ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়৷আমি আবারও তার সাথে নিয়মিত কথা বলতে থাকি। আমার বয়ফ্রেন্ড এর প্রতি আবার মায়া বেড়ে যায়। কেননা এমনিতেই আমাদের রিলেশন সেই কলেজ লাইফ থেকে প্রায় ৩ বছরের।
আমি ফোনে কথা বলার সময় প্রায়ই দেখে ফেলতো কিন্তু কিছু বলত না। এভাবে প্রায় ২০ দিন চলে যায়। একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছি। উনিও উঠেছেন। হটাৎ ই আম্মা কেমন যেনো করতে থাকে।